মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র নূরুল আমিন তপুকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর আসামি ইয়ামিন মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় নিহত তপুর চাচা মামলার বাদী শফিউদ্দিন আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তপু নিখোঁজের পর ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি তার চাচা দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। জিডির পর অপহরণকারীরা ভিকটিমের মুক্তির জন্য তার চাচার কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর তিনি দারুসসালাম থানায় আবার একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের জোনাল টিম। ঘটনার দুই দিন পর এই তিন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মিরপুর বেড়িবাঁধের জহুরাবাদ এলাকায় ইমরানের ভাড়া বাসায় তপুকে ডেকে এনে সুকৌশলে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে ইমরানের বাসাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর ভিকটিমের মরদেহ বস্তাবন্দি করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন। আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।